তোমার সুরভিহীন ফুল দিয়ে কী করবো আমি?
তুমি হীন বসন্তেই বা কীসের আনন্দ?
তুমি ছাড়া সূর্যোদয় কী কাজে আসবে আমার,
তোমার অস্তিত্বহীন এই বিশ্বজগতেই বা কী আছে আমার?
তোমার পরশহীন নেমে আসে যে বৃষ্টি, আমি তা চাই না,
মৃদুমন্দ বাতাস আমি চাই না।
নক্ষত্রগুলো জ্বলজ্বল করতে চাইলে তোমাকে নিয়েই করুক,
তুমিহীন জ্বলজ্বলে তারা আকাশে আমি চাই না।
বুলবুলিরা কিছু বলতে চাইলে তোমাকে নিয়েই বলুক,
তোমার কথা ছাড়া বুলবুলির কণ্ঠেও কিচ্ছু আমি শোনবো না।
আমার আশা আকাঙ্ক্ষা যদি তুমি হও, পুড়ুক তবে আমার হৃদয়,
তুমি ছাড়া কোনো পরভূমি আমি চাই না,
মাতৃভূমিও চাই না।
হৃদয়দেশে আগুন যদি পোড়াতে চায় আমাকে,
তোমার ভালোবাসার আগুন যেন হয় তা।
তুমি ছাড়া কারো প্রেমে যদি ভস্ম হয় আমার হৃদয়,
সে হৃদয় আমি চাই না, সে আগুন আমি চাই না,
পরিত্রাণও আমি চাই না।
তোমাকে দেখিনি যে মরূদ্যানগুলোয়, পড়ে থাক সেসব বেদুঈনদের জন্য,
আমি তোমার অস্তিত্বের মরুভূমি চাই, পানি চাই না।
তোমার সন্ধানে যদি বের হই, ছুটবো নিরন্তর নিরবধি,
তোমার অভিমুখ ছাড়া কোনো গন্তব্য আমি চাই না,
কোনো পথ আমি চাই না।
আমি তোমার ভালোবাসার স্বেচ্ছাসেবি দাস,
গলে আমার দাসত্বের বেড়ি।
তোমার হৃদয় জয় করতে পারি যদি,
মাড়িয়ে আসবো এক হাজার সিনাই পর্বত।
না হয়, তুমি ছাড়া কী আছে আমার?
এ বিজয় আমি চাই না, মিশর আমি চাই না,
সারা জাহান আমি চাই না।
সুলতান ফাতিহ আমি, এই তো দাঁড়িয়ে আছি ইস্তাম্বুলের বুকে,
তোমার মুখের একটি হাসির জন্য এই শহর আমি জ্বালিয়ে দিবো।
না হয়, তোমার গোলাপ মুখে হাসি না ফোটানো এই সাম্রাজ্য আমি চাই না,
ইস্তাম্বুল আমি চাই না।
তুমি ছাড়া কোনো প্রেমগাঁথার জন্য কলম চাই না আমি,
কাগজও চাই না।
আমি তো এক নগণ্য উম্মত তোমার, তুমি আমার এফেন্দি।
তুমি ছাড়া কোনো এফেন্দি আমি চাই না,
কোনো প্রেমময়ী আমি চাই না,
আমি চাই না।