No Result
View All Result
  • Login
  • Register
Al Azhar blog
  • প্রচ্ছদ
  • তত্ত্ব ও সমাজ
  • বই আলোচনা
  • ইতিহাস
  • ফিকহ
  • আকিদাহ
  • তুরাস
  • চিন্তাধারা
  • সাহিত্য
  • সকল ক্যাটাগরি
    • রাজনীতি
    • অর্থনীতি
    • সভ্যতা সংস্কৃতি
    • শিল্পকলা
    • জীবনদর্শন
    • ব্যক্তিত্ব
    • নারী
    • ক্যারিয়ার
    • তথ্য প্রযুক্তি
    • আঙিনা
    • প্রবাস জীবন
    • এন্টারটেইনমেন্ট
আপনিও লিখুন
যারা লিখছেন
Al Azhar blog
  • প্রচ্ছদ
  • তত্ত্ব ও সমাজ
  • বই আলোচনা
  • ইতিহাস
  • ফিকহ
  • আকিদাহ
  • তুরাস
  • চিন্তাধারা
  • সাহিত্য
  • সকল ক্যাটাগরি
    • রাজনীতি
    • অর্থনীতি
    • সভ্যতা সংস্কৃতি
    • শিল্পকলা
    • জীবনদর্শন
    • ব্যক্তিত্ব
    • নারী
    • ক্যারিয়ার
    • তথ্য প্রযুক্তি
    • আঙিনা
    • প্রবাস জীবন
    • এন্টারটেইনমেন্ট
No Result
View All Result
Al Azhar blog
No Result
View All Result

আরবরা ছিলো ইসলামের তরবারি, তুর্কিরা ইসলামের ঢাল

সাজ্জাদ আকবর by সাজ্জাদ আকবর
নভেম্বর ১, ২০২৩
0
0
আরবরা ছিলো ইসলামের তরবারি, তুর্কিরা ইসলামের ঢাল

হিজরি ২৩২ সনের কথা।

আব্বাসীয় খেলাফতের ২য় যুগ শুরু হয়েছে কেবল। তামাম দুনিয়া সবিস্ময়ে প্রত্যক্ষ করছিল একটি বিশ্বজয়ী জাতির অনাকাঙ্ক্ষিত পতনের করুণ দৃশ্য। ইসলামের সূর্য হঠাৎ মধ্যগগণ থেকে ছিটকে পড়তে আরম্ভ করলো। পতনের সবগুলো উপসর্গ ধীরে ধীরে প্রকট হচ্ছিলো মুসলিম সমাজে। খালিদ-মুসান্নার শৌর্যবীর্যের ইতিহাস তখন মুসলমানদের কাছে রূপকথার গল্প। বাগদাদের প্রাসাদে হারুন-মু’তাসিমের হুঙ্কারের পরিবর্তে ধ্বনিত হচ্ছিলো স্বল্পবসনা নর্তকীদের সুর-লহরী আর ঝুমুরের ঝঙ্কার। রক্তে আগুন জ্বালানো জিহাদি কাব্যের জায়গা দখল করেছিলো মুসাহিব– দরবারী কবিদের কবিতা নামক অখাদ্য স্তুতিগাঁথা। বাগদাদ-দামেস্কের ময়দানগুলোতে ঘোড়সওয়ারী আর নেযাবাজির পরিবর্তে চলছিলো পারস্য বায়জিদের নৃত্য আর মিসরীয়দের যাদুর আসর। খিলাফাতের প্রাণস্পন্দন নিঃশেষ হচ্ছিলো খুব দ্রুতগতিতে। অস্তগামী সূর্যের ক্ষীণ আলোর মতো গুটিয়ে আসছিলো খিলাফাতের সুবিশাল মানচিত্র। একপর্যায়ে তা বাগদাদের নগরপ্রাচীরেই সীমিত হয়ে পড়লো। খিলাফাতে ইসলামিয়ার এমন দুর্বলতার সুযোগ হাতছাড়া করলো না প্রত্যন্ত অঞ্চলের সুযোগসন্ধানী আমীরগণ। একে একে সবাই নিজেদেরকে স্বাধীন ‘সুলতান’ বলে ঘোষণা দিতে লাগলো। জনগণের চোখে ধুলো দেওয়ার জন্য নিজেদেরকে নামকাওয়াস্তে খলীফার অনুগত বলে প্রচার করতে লাগলো।খিলাফাতের যে সামান্য নিদর্শনটি তখনও তারা বাকি রেখেছিলো তা হচ্ছে, জুমার খুতবায় দু’তিন বাক্যে সংক্ষেপে ‘খলীফাতুল মুসলিমীনের’ জন্য দোয়া করা।

পতনের মুখেই তাতারি হামলা

ইতিহাস তরতর করে বয়ে চললো সমুখের দিকে।পতনোন্মুখ সে অবস্থা নিয়েই হিজরী ষষ্ঠ শতক পর্যন্ত আরো চার শতাব্দী টিকে থাকলো খেলাফত।আব্বাসী খেলাফতের পাশাপাশি খাওয়ারিজম,উজবেক ও সেলজুকসহ আরো কিছু বিভক্ত সাম্রাজ্য নিয়ে গড়ে ওঠেছিলো বহুবিভক্ত তৎকালীন মুসলিম জাহান। প্রত্যেক সাম্রাজ্যের খলিফাগণ পরস্পর বিচ্ছিন্ন ছিলেন। কারো সাথে কারো কোনো ধরনের কূটনৈতিক সম্পর্কও ছিলো না। বরং পরস্পরের বিরুদ্ধে নীলনকশা আঁকতেই সময় কাটতো তাদের। মুসলিম জাহানের যখন নিদারুণ এই চারিত্রিক,নৈতিক ও ধর্মীয় অধঃপতন-ঠিক সেই সময় বিশ্বমঞ্চে অভ্যুত্থান ঘটলো পৃথিবীর বর্বরতম তাতারী জাতিগোষ্ঠীর।ক্ষুধার্ত নেকড়ের মতো ঝাঁপিয়ে পড়লো শতধা বিভক্ত মুসলিম জাহানের ওপর। ওদের নৃশংস হামলায় খেলাফতভূমি বাগদাদের কেবল পতনই ঘটলো না,বরং ভূস্বর্গ বাগদাদ পরিণত হলো জ্বলজ্যান্ত আস্তাকুঁড়ে। কী হয়েছিলো বাগদাদের পরিণতি? ইবনে কাসীর জানাচ্ছেন—

‘বাগদাদে চল্লিশ দিন পর্যন্ত গণহত্যা ও লুটতরাজ অব্যাহত ছিলো। চল্লিশ দিন পর এই উদ্যান-নগর, যা পৃথিবীর সুন্দরতম ও সমৃদ্ধতম নগর ছিলো,এমন বরবাদ ও বিরান হলো যে, অল্প ক’জন মানুষই শুধু বেঁচে ছিলো। বাজারে ও অলিগলিতে গলিত লাশের স্তূপ ছিলো। সেই লাশের উপর বৃষ্টি হয়ে সারা শহরে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়লো এবং শহরের পরিবেশ দুর্বিষহ হয়ে ওঠলো। মোটকথা-মহামারী,বরবাদি ও দুর্ভিক্ষ-বাগদাদে যেন এ তিনেরই রাজত্ব ছিলো।’

এককথায়, তাতারীদের হামলা ইসলামের শৌর্যবীর্যের ইতিহাসকেই বিকৃত করে দিলো। ভয়াবহ সেই হামলার ধকল সইতে পারেনি খেলাফত। শোচনীয় পতন ঘটলো খেলাফতভূমি বাগদাদের। বাগদাদের খলিফা আশ্রিত হলেন মিসরের মামলুকদের কাছে। মামলুকরা সম্মানার্থে খলিফার অধীনতা গ্রহণ করলেন। কিন্তু সেখানে আব্বাসীদের খেলাফত ইতিহাসের প্রতীক হয়ে ‘শোকেজে’ শোভা পাচ্ছিলো কেবল। বাস্তব জীবনে কোন কার্যকারিতা ছিলো না খেলাফতের। বিচ্ছিন্ন তাসবীহ দানার মতো ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়েছিলো বাগদাদের খেলাফতভুক্ত রাষ্ট্রগুলো। এককথায় মুসলমানরা পড়ে পড়ে কেবল মারই খাচ্ছিলো। ওঠে দাঁড়ানোর কোনো সুযোগই পাচ্ছিলো না। এভাবেই হিজরী সপ্তম শতাব্দীটি মুসলিম জাহানের পতন ও বঞ্চনার করুণ সাক্ষী হয়ে ইতিহাসের পাতায় বিস্মৃত হলো।

অষ্টম শতাব্দী : পুনরুত্থানের কাল

বাগদাদে-মিসরে আব্বাসীদের খেলাফতের সূর্য যখন অস্তপ্রায়, তখন এশিয়া মাইনরে তুর্কি গোত্রপতি গাজী উসমানের নেতৃত্বে কৃষ্ণসাগরের তীরে আনাতোলিয়ার প্রান্তরে উদিত হলো খেলাফতের নতুন সূর্য। মুসলিম জাতির নিদারুণ সঙ্কট-সন্ধিক্ষণে ইতিহাসের মঞ্চে আবির্ভাব ঘটলো অপ্রতিরোধ্য অপ্রতিহত এক জাতির। ইতিহাস যাদেরকে ডাকে-‘উসমানী’ বলে। এই উসমানীরা ইতিহাসের লাগাম টেনে ধরলো শক্ত করে। ক্ষয় থেকে জয়ের দিকে বাঁক ঘুরালো ইতহাসের ঘোড়া। ৭৫৩ হিজরীতে খলিফা মুহাম্মদ আল ফাতিহ বাইজান্টাইন সাম্রাজ্যের অপরাজেয় রাজধানী কনস্টান্টিনোপল পদানত করে বিজয়ের ষোলকলা পূর্ণ করলেন।তারপর একে একে উসমানীয় সুলতানরা পূর্বদিগন্ত জয় করে ঘোড়া হাঁকালেন পশ্চিম দিগন্তে। কড়া নাড়লেন ইউরোপের সদর দরজা ভিয়েনায়। তাঁদের তরবারির ছায়ায় যেন নিরাপদ আশ্রয় পেলো বিপর্যস্ত মুসলিম জাহান। এককথায় খোলাফায়ে রাশেদীনের হাত ধরে মুসলিমজাতি যে বিজয়ধারা শুরু করেছিলেন,উসমানীয়রা সেই ধারাকেই উজ্জীবিত করলেন নতুন করে। প্রতিরোধ ও প্রতিরক্ষার নতুন ইতিহাস গড়লেন তাঁরা।

মুসলিম শাসনের দুই ধারা : মুখতার শানকীতির বর্ণনায়

আরবের বিশিষ্ট রাষ্ট্রবিজ্ঞানী মুহাম্মাদ মুখতার আশ-শানকীতি ইসলামের ইতিহাসকে দুই ভাগে ভাগ করেছেন- (১) ইসলামের বিজয়কাল: যা ইসলামের প্রথম যুগ থেকে নিয়ে মোটামুটি হিজরী চতুর্থ শতক পর্যন্ত ধরা যায়। এই সময়টাতে আরবদের অবদান ছিল বেশি। তারাই ইসলামের বাণীকে পশ্চিমে স্পেন থেকে নিয়ে পূর্বে চীনের কাশগড় পর্যন্ত নিয়ে গিয়েছিলেন। (২) প্রতিরোধ কাল: হিজরী অষ্টম শতক থেকে শুরু করে চতুর্দশ শতক পর্যন্ত ছিলো যার ব্যাপ্তিকাল। সুদীর্ঘ এ সাতশো বছরের সময়কালে তুর্কিরা প্রতিরোধ আর প্রতিআক্রমণের এক বর্ণাঢ্য ইতিহাস রচনা করতে সক্ষম হন। বিপর্যস্ত মুসলিম জাহানকে তারাই রক্ষা করেছেন ইউরোপের কথিত ‘ধর্মযুদ্ধে’র আগ্রাসন থেকে। জীবনের নজরানা দিয়ে তারা রক্ষা করেছেন আল কুদসকে। রক্ষা করেছেন মক্কা মদীনা আর পবিত্র হিজাযভূমি। শানকীতি এই দুই যুগের দুই গর্বিত জাতিকে মূল্যায়ন করতে গিয়ে বলেন, ‘আরবরা ছিল ইসলামের তরবারি আর তুর্কিরা হলো ইসলামের ঢাল।’

প্রতিরোধের প্রতীক তুর্কি জাতি: আলী নদভীর জবানিতে

আবুল হাসান আলী নদভীর জবানিতে তুর্কিদের পরিচয় ওঠে এসেছে এইভাবে—

তুর্কি জাতি সত্যিকার অর্থেই এমন গুণ ও বৈশিষ্ট্যের অধিকারী ছিলো,যার ফলে তারা হয়ে ওঠেছিলো মুসলিম উম্মাহর নেতৃত্ব লাভের যোগ্য হকদার। তারা ছিলো উদীয়মান, উচ্চাভিলাষী ও প্রাণচাঞ্চল্যে পরিপূর্ণ একটি জাতি। তাদের মধ্যে ছিলো সত্যিকার জিহাদি চেতনা। ইস্পাত কঠিন বিশ্বাস আর গ্রাম্য ও মরুবাসির কঠোর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য নিয়ে তাঁরা দ্বীনে প্রবেশ করেছিলেন। চারিত্রিক ভণ্ডামি তাঁদেরকে স্পর্শ করতে পারে নি। এককথায় নীতি আদর্শে এই তুর্কিরাই ছিলেন সভ্য পৃথিবীর উপমা। দর্শন ও সংস্কৃতিতে এই তুর্কিরাই ছিলেন অনুসরণীয়। আর সামরিক শক্তি ও সক্ষমতায় রীতিমত এই তুর্কিরাই ছিলেন সমগ্র পৃথিবীর রোল মডেল।

আরও পড়ুন

আন্দালুস : আমাদের হারিয়ে যাওয়া ফিরদাউস

আন্দালুস : আমাদের হারিয়ে যাওয়া ফিরদাউস

নভেম্বর ১, ২০২৩
ইন্দো-মুসলিম সভ্যতার গোড়াপত্তনের ইতিকথা

ইন্দো-মুসলিম সভ্যতার গোড়াপত্তনের ইতিকথা

নভেম্বর ১, ২০২৩
পুণ্যভূমি ফিলিস্তিন : হাজার বছরের ইতিহাস

পুণ্যভূমি ফিলিস্তিন : হাজার বছরের ইতিহাস

নভেম্বর ১, ২০২৩

খেলাফত প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই তুর্কিরা আধুনিক যুদ্ধাস্ত্র,বিশেষত আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের প্রতি মনোযোগী ছিলেন। তাদের কামানগুলো ছিলো অধিকতর দূরপাল্লার। আর অস্ত্রাগারে ছিলো সর্বাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র। সামরিক প্রশিক্ষণ,যুদ্ধকৌশল উদ্ভাবন,সেনাবাহিনীর আধুনিক বিন্যাস ইত্যাদি সকল বিষয়ে তারা ছিলেন পূর্ণ যত্নবান। ফলে যুদ্ধবিদ্যায় তারাই ছিলেন জগৎশ্রেষ্ঠ। তাদের খেলাফাত বিস্তৃত ছিলো ইউরোপ, এশিয়া, আফ্রিকা তিন মহাদেশে। ইসলামী প্রাচ্যের পারস্য থেকে মরক্কো পর্যন্ত ছিলো তাদের শাসন এবং এশিয়া মাইনর ছিলো তাদের অধিকারে। অন্যদিকে ইউরোপে তাদের অগ্রাভিযান ভিয়েনার প্রাচীরে আঘাত হেনেছিলো। সমগ্র ভূমধ্যসাগরে তারাই ছিলেন অপ্রতিদ্বন্দ্বী নৌশক্তি। অন্যকোন নৌশক্তির প্রবেশাধিকারও সেখানে ছিলো না। তাদের নৌবহর ছিলো এত বিশাল, যা ইউরোপের সম্মিলিত শক্তির কাছেও ছিলো না। মাটির ওপর পানির জাহাজ চালিয়ে পৃথিবীকে তারা উত্তর আধুনিকতার শিক্ষা দিয়েছিলেন। ৯৪৫ হিজরীতে পোপের আহ্বানে ভেনিস, স্পেন, পর্তুগাল ও মাল্টার সম্মিলিত নৌশক্তি তুর্কি নৌবহরকে পরাস্ত করার অপপ্রয়াস চালিয়ে উল্টো পর্যদুস্ত হয়েছিলো। তুর্কি নৌসেনাদের নিক্ষিপ্ত গোলার আঘাতে শত্রপক্ষের অধিকাংশ জাহাজ সাগরে ডুবে গিয়েছিলো। শোচনীয় পরাজয় ঘটেছিলো তাদের ভাগ্যে।

সুলাইমান আল কানুনী : প্রাচ্য পেরিয়ে ইউরোপে

খলিফা সোলায়মান আল কানুনীর শাসনকালে তুর্কিদের যেমন জলভাগ ও স্থলভাগে ছিলো নিরঙ্কুশ কর্তৃত্ব, তেমনি ছিলো অখণ্ড রাজনৈতিক ও আধ্যাত্মিক প্রভাব প্রতিপত্তি। উসমানী সালতানাত তখন উত্তরে সাভা নদী,দক্ষিণে নীলনদের উৎসমুখ ও ভারতসাগর,পূর্বে ককেশাস পর্বতশ্রেণী এবং পশ্চিমে আটলাস পর্বতমালা পর্যন্ত বিস্তৃত ছিলো।একমাত্র রোম ছাড়া প্রাচীন বিশ্বের সমস্ত প্রসিদ্ধ শহর ছিলো তুর্কি খলিফার দরবার ‘আলবাবুল আলী’র অধীন।

এভাবে দীর্ঘ সাড়ে ছয়শো বছর বুকের খুন দিয়ে ইসলামের বৃক্ষকে সতেজ সজীব করে রেখেছিলেন তুর্কিরা। ইতিহাসের মঞ্চে দুর্ধর্ষ এই তুর্কি জাতির আবির্ভাবই যেন হয়েছিলো ইসলামের শৌর্যবীর্যের ইতিহাসকে নতুন করে লেখার জন্য। যারা মরক্কো, সুদান, সোমালিয়া থেকে নিয়ে ভিয়েনার দোরগোড়া পর্যন্ত নিয়ে গিয়েছিলেন ইসলামের পতাকাকে। যাদের অশ্বগুলো দাপিয়ে বেড়াতো আফ্রিকা, এশিয়া ও ইউরোপরে প্রত্যন্ত অঞ্চল। যাদের বিশালকায় তোপের গোলায় ছিন্নভিন্ন হয়ে গিয়েছিলো এথেন্স, বেলগ্রেডের কেল্লাগুলো। ইউরোপের সম্মিলিত খৃস্টান শক্তিকে নাস্তানাবুদ করে সুলতান বায়েজিদ যখন হুঙ্কার ছাড়ছিলেন, তখন রোম আর ভেটিকেনের গির্জাগুলোতে কান্নার রোল উঠছিল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ভবিষ্যদ্বাণীকে সত্য প্রামাণিত করে যখন সুলতান মুহাম্মাদ আল ফাতিহ ৭৫৩ হিজরীতে কনস্টান্টিনোপলের অজেয় প্রাচীরগুলোকে গুঁড়িয়ে দিয়ে আয়াসোফিয়ায় চাঁদ তারকা খচিত পতাকা উড়াচ্ছিলেন,তখন তাবৎ খৃস্টান দুনিয়া বিলাপ আর মাতম ছাড়া কিচ্ছুই করতে পারছিল না। সুলতান সোলাইমান আল কানুনী যেভাবে বুদাপেস্ট থেকে ভিয়েনা পর্যন্ত গোটা মধ্য ইউরোপ চষে ফিরছিলেন তাতে বার্লিন আর প্যারিসের শাসকদের রাতের ঘুম হারাম হয়ে গিয়েছিলো। দীর্ঘ ৩০০ বছর ভূমধ্যসাগরে তুর্কিদের খাজনা না দিয়ে ক্রুশের পতাকাবাহী কোন জাহাজ ঢুকতে পারেনি। এক কথায় তুর্কিরা ইসলামের ইতিহাসকে যেভাবে সমৃদ্ধ করেছিলেন, তার দৃষ্টান্ত দ্বিতীয়টি নেই। ইসলামের প্রথম যুগের মুজাহিদীনদের পরে তাঁদের মতো এমন বীরত্বগাঁথার জন্ম আর কেউ দিতে পারেনি। এজন্যই মুখতার শানকীতি বলেছেন, উমাইয়া আর আব্বাসী যুগের আরবরা যদি হয় ইসলামের তরবারি, তাহলে সুলতান মুহাম্মদ আল ফাতিহ আর সুলাইমান আল কানুনীর যুগের তুর্কিরা হলো ইসলামের ঢাল।

লেখক : শিক্ষার্থী, আকিদা এন্ড ফিলোসোফি ডিপার্টমেন্ট, ফ্যাকাল্টি অব থিওলজি, আল আজহার ইউনিভার্সিটি।

ShareSendShareSend
সাজ্জাদ আকবর

সাজ্জাদ আকবর

সাজ্জাদ আকবর।পড়াশোনা করছেন আকিদাহ ও ফালসাফা নিয়ে মিশরের আল আজহার ইউনিভার্সিটিতে। বাংলাদেশে তিনি কবি ও গবেষক মুসা আল হাফিজের তত্ত্বাবধানে ‘মা’হাদুল ফিকরি ওয়াদ দিরাসাতিল ইসলামিয়া’য় অধ্যয়ন করেছেন। প্রকাশিত গ্রন্থ: ‘দু:সময়ের বধ্যভূমিতে উত্থানের চাষাবাদ’ (অনুলিখন)। একাডেমিক পড়াশোনার বাইরে সমাজ ও সংস্কৃতি তার অধ্যয়নের মূল জায়গা।ইতিহাস, সংস্কৃতি ও সমাজ বিষয়ক তার কয়েকটি পাণ্ডুলিপি প্রকাশের অপেক্ষায় আছে।জন্ম : ১৭ মার্চ ১৯৯৭, নারায়ণগঞ্জ।

Next Post
আন্দালুস : আমাদের হারিয়ে যাওয়া ফিরদাউস

আন্দালুস : আমাদের হারিয়ে যাওয়া ফিরদাউস

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সর্বাধিক পঠিত

  • সুলতান মুহাম্মদ ফাতিহের কবিতা— আমি চাই না

    সুলতান মুহাম্মদ ফাতিহের কবিতা— আমি চাই না

    0 shares
    Share 0 Tweet 0
  • সহশিক্ষা ও অন্যান্য প্রসঙ্গ: আল আযহার নিয়ে প্রচলিত মিথ ও বাস্তবতা

    0 shares
    Share 0 Tweet 0
  • সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় ইসলাম

    0 shares
    Share 0 Tweet 0
  • ইতিহাসের জন্মভূমি: মিসরে ইসলামের সোনালী অতীত

    0 shares
    Share 0 Tweet 0

সাম্প্রতিক রচনা

জায়নবাদী আগ্রাসন:  সুলতান আবদুল হামিদ যেভাবে রক্ষা করেছিলেন আল কুদসকে 

জায়নবাদী আগ্রাসন: সুলতান আবদুল হামিদ যেভাবে রক্ষা করেছিলেন আল কুদসকে 

নভেম্বর ২১, ২০২৩
কুরআনের দার্শনিক প্রকল্প ও আধুনিক চিন্তাবৃত্তি

কুরআনের দার্শনিক প্রকল্প ও আধুনিক চিন্তাবৃত্তি

নভেম্বর ২১, ২০২৩
রোয়াকুল আযহার: সোনালী যুগের মসজিদভিত্তিক দরসগাহ

রোয়াকুল আযহার: সোনালী যুগের মসজিদভিত্তিক দরসগাহ

নভেম্বর ২১, ২০২৩
ইতিহাসের জন্মভূমি: মিসরে ইসলামের সোনালী অতীত

ইতিহাসের জন্মভূমি: মিসরে ইসলামের সোনালী অতীত

নভেম্বর ১০, ২০২৩
ADVERTISEMENT

Search

No Result
View All Result

বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন

  • আল আযহার ব্লগ সম্পর্কে
  • আল আযহার ব্লগ পরিবার
  • আপনিও লিখুন
  • বিজ্ঞাপন ও যোগাযোগ

সম্পাদনা পরিষদ

সম্পাদক: সাজ্জাদ আকবর
সম্পাদনা সহকারী : ইরফান উদ্দীন

যোগাযোগ

শারেউল ইয়ামানী, খালিদ বিন ওয়ালিদ স্ট্রীট, তাব্বা, মাদীনাতু নাসর, কায়রো।

ফোন: +201554883928
ইমেইল : awsbe.org@gmail.com

© 2023 All rights reserved by AWSBE- Azhar Welfare Society Bangladesh, Egypt. Idea & design planned by Sajjad Akbar. Developed by GM RABBANY.

আপনিও লিখুন
  • প্রচ্ছদ
  • বিশেষ লেখা
  • যারা লিখছেন
  • সমসাময়িক
  • হৃদয়ে আল কুদস
  • তত্ত্ব ও সমাজ
  • বই আলোচনা
  • ইতিহাস
  • ফিকহ
  • আকিদাহ
  • তুরাস
  • চিন্তাধারা
  • সাহিত্য
  • প্রাচ্যবাদ – পাশ্চাত্যবাদ
  • আল আযহার
  • সকল ক্যাটাগরি
    • রাজনীতি
    • অর্থনীতি
    • সভ্যতা সংস্কৃতি
    • শিল্পকলা
    • জীবনদর্শন
    • ব্যক্তিত্ব
    • নারী
    • ক্যারিয়ার
    • তথ্য প্রযুক্তি
    • আঙিনা
    • প্রবাস জীবন
    • এন্টারটেইনমেন্ট
    • বিবিধ
      • ফিচার
  • Login
  • Sign Up
No Result
View All Result

© 2023 All rights reserved by AWSBE- Azhar Welfare Society Bangladesh, Egypt. Idea & design planned by Sajjad Akbar. Developed by GM RABBANY.

Welcome Back!

OR

Login to your account below

Forgotten Password? Sign Up

Create New Account!

OR

Fill the forms bellow to register

All fields are required. Log In

Retrieve your password

Please enter your username or email address to reset your password.

Log In